শাহজালাল বিমানবন্দরে কর্মীদের তরল পদার্থ বহনে নিষেধাজ্ঞা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার কর্মীদের রানওয়ে ও অ্যাপ্রোন এলাকাসহ এয়ার সাইডে বাইরে থেকে আনা পানি, অ্যারোসল স্প্রেসহ সব ধরনের তরল পদার্থ বহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

শাহজালাল বিমানবন্দরে কর্মীদের তরল পদার্থ বহনে নিষেধাজ্ঞা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার কর্মীদের রানওয়ে ও অ্যাপ্রোন এলাকাসহ এয়ার সাইডে বাইরে থেকে আনা পানি, অ্যারোসল স্প্রেসহ সব ধরনের তরল পদার্থ বহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টের (ডিএফটি) আপত্তির কারণে রবিবার (২৩ জুন) থেকে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিমান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

 

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন এয়ারলাইনসের যেসব কর্মী রানওয়ে ও অ্যাপ্রোন এলাকায় কাজ করেন, তারা বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট (হ্যাঙ্গার গেট) দিয়ে প্রবেশ করেন।  একইসঙ্গে  রানওয়ে ও অ্যাপ্রোন এলাকায় চলাচলকারী যানবহনগুলোও একই গেট দিয়ে প্রবেশ করে। এই গেট দিয়ে প্রত্যেক ব্যক্তিকেই জুতা ও বেল্ট খুলে তল্লাশির মধ্য দিয়ে প্রবেশ করতে হয়। তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগসহ অন্যান্য জিনিসপত্রও স্ক্যানার মেশিনে চেক করা হয়। যানবাহনের ক্ষেত্রে চালক ও যানবাহন তল্লাশি শেষে ভেতরে প্রবেশের সুযোগ মেলে। তবে অনেকেই সঙ্গে করে বাইরে থেকে আনা পানি ও কোমল পানীয় নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। অন্যদিকে প্রায় প্রতিটি গাড়িতেই মশা তাড়াতে থাকে অ্যারোসল স্প্রে। এসব তরল পদার্থ কোনও ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই ভেতরে ঢোকানো হয়ে থাকে।

সূত্র জানায়, ১৮ জুন থেকে তিন দিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অডিট করেছে যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর ট্রান্সপোর্ট (ডিএফটি)। তিন দিনব্যাপী এ অডিট কার্যক্রমে বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্স, রানওয়ে, টার্মিনাল ভবনসহ সব স্থানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা মূল্যায়ন করা হয়। ডিপার্টমেন্ট ফর ট্রান্সপোর্টের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের  পর্যবেক্ষণে  উঠে আসে— ৮ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করা গাড়িতে পানি, কোমল পানীয়, অ্যারোসল স্প্রে থাকে। এসব তরল পদার্থ কোনও ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই রানওয়ে ও অ্যাপ্রোন এলাকায় চলে যাচ্ছে। অ্যারোসল স্প্রে দাহ্য পদার্থ হওয়ায় বিমানবন্দরে ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। অন্যদিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই বোতলে পানি বা কোমল পানীয়ের বদলে তরল বিস্ফোরক, এসিড, দাহ্য তরল পদার্থ বহনের ঝুঁকি থাকায় আপত্তি ডিএফটি’র। এছাড়া, ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) নিয়ম অনুযায়ী, বিমানবন্দরের এয়ার সাইডে তরল পদার্থ বহনে বিধি নিষেধ রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এভিয়েশন সিকিউরিটি’র (এভসেক) পরিচালক উইং কমান্ডার নূর এ আলম বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ৮ নম্বর গেট দিয়ে যে কোনও তরল পদার্থ বহন নিষেধ করা হয়েছে। বিমানবন্দরের বিভিন্ন স্থানে পানি পানের ব্যবস্থা আছে, ফলে বাইরে থেকে পানি বহন করে আনারও প্রয়োজন নেই।’